জাতীয় পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন

0
Spread the love

জাতীয় পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন 

Can apply for national identity card or ID card

 

 

Can apply for national identity card or ID card

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন

ভোটার নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে ১৮ বছরের আগেই হাতে পাবেন NID Card দেখুন নতুন নিবন্ধন হতে কি কি লাগে।

 

 আইডি কার্ড নিবন্ধন করতে কি কি ডকুমেন্টস ও কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে পাবেন এই পোস্টের মাধ্যমে।

১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই অনলাইনে New Voter Registration করতে পারবেন এবং NID Card হাতে পাবেন।

কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম আসবে ১৮ পূর্ণ হবার পর।

 

আলোচনার সারসংক্ষেপ

  •  কি কি লাগে
  •  আবেদন করার শর্ত

  •  কার্ড করতে কি কি লাগে

  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ

  • নাগরিক সনদ

  • প্রত্যয়ন পত্র

  • পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড

  • ট্যাক্স বা খাজনা পরিশোধের রশিদ

  • ইউটিলিটি বিলের কপি

  • রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট

  • অঙ্গীকারনামা

কী কী লাগে /

ভোটার হতে প্রধানত বোর্ড পরিক্ষার সার্টিফিকেট, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিকত্ব সনদ ও মিতা মাতার NID Card এর ফটোকপি প্রয়োজন।

ঠিকানা প্রমানের জন্য ইউটিলিটি বিল যেমন বিদ্যুৎ বিল কিংবা গ্যাস বিলের কপি অথবা কর পরিশোধের রসিদ লাগবে।

 

রক্তের গ্রুপ যুক্ত করার জন্য রক্তের গ্রুপ পরিক্ষার রিপোর্ট (ক্লিনিক / হাসপাতাল হতে) । নতুন ভোটার আবেদন করতে কি কি লাগে তা নিচে লিস্ট আকারে প্রকাশ করা হলো-

 

  • জন্ম নিবন্ধন সনদ

  • শিক্ষাগত যোজ্ঞতা সনদ

  • নাগরিক সনদ

  • প্রত্যয়ন প্রত্র

  • পিতা মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি

  • ইউটিলিটি বিলের কপি

  • ট্যাক্স / কর পরিশোধের রশিদ

এইসব ডকুমেন্টের সাথে চাইলে পাসপোর্ট নাম্বার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংযুক্ত করতে পারেন। পূর্বে কখনো জাতীয় পরিচয় পত্রে নিবন্ধন করেননি এই মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা ভোটার নিবন্ধনের আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

 

কি কি লাগে/

New voter application checklist

আবেদনকারী যদি বিবাহিত হয় তাহলে আবেদনের সাথে কাবিননামা বা বৈবাহিক সনদ সংযুক্ত করতে হবে সাথে স্বামী অথবা স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে) জমা দিতে হবে।

 

 আবেদন করার শর্ত

নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন অর্থাৎ এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়-

 

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  • বয়স ১৬ বছর বা তার চেয়ে বেশি হতে হবে
  • পূর্বে কখনো নিবন্ধন করেনি

একজন বাংলাদেশী নাগরিকের প্রমাণ হিসেবে প্রত্যেকেরই কিছু ডকুমেন্ট থাকে। অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ, পিতা-মাতা জাতীয়তা এবং আইডি কার্ড। স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাসরত বাড়ির কর পরিষদ রশিদ।

 

 কার্ড করতে কি কি লাগে

নতুন আইডি কার্ড আবেদন করলে আবেদনপত্রের সাথে যে সকল ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র আবশ্যিকভাবে জমা দিতে হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পরীক্ষার সার্টিফিকেট, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন, ইউটিলি বিলের কপি।

 

বয়স বেশি হলে নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়। পূর্বে কখনো জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য নিবন্ধন করা হয়নি এই মর্মে অঙ্গীকারনামা লিখতে হবে।

 

আইডি কার্ড আবেদন করার জন্য উপরে বর্ণিত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়। কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অফিসের চাহিদা অনুসারে অতিরিক্ত কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে।

 

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ

আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে সর্বপ্রথম যে ডকুমেন্টটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ। আবেদনপত্রের সাথে বাধ্যতামূলক যে ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হয় তার মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ অন্যতম। নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করা হবে না।

 

আপনার যদি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ না থেকে থাকে তাহলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে খুব সহজে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে নিতে পারেন। জন্ম নিবন্ধন না থাকলে NID কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে না।

 

শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ

যাদের বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট রয়েছে তারা ভোটার অ্যাপ্লিকেশনের সাথে সেগুলো যুক্ত করতে পারেন। শিক্ষা সনদ হিসেবে JSC, SSC, HSC বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট যুক্ত করা যাবে।

 

আপনি যদি ভোকেশনাল অথবা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে থাকেন সেক্ষেত্রেও JSC, SSC, HSC এর সমমান সার্টিফিকেট আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে পারেন।

 

নাগরিক সনদ

নতুন ভোটার আবেদনের সাথে নাগরিক সনদ যুক্ত করা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকের জন্য। তাই আপনি এদেশের একজন নাগরিক তার একটি সনদ আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

 

আপনার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি যেমন চেয়ারম্যান, সিটি করপরেশনের মেয়র কিংবা ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে নাগরিক সনদ সংগ্রহ করতে পারেন।

 

প্রত্যয়ন পত্র

নাগরিক সনদের মতোই প্রত্যয়ন পত্র স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। আপনি গ্রাম এলাকায় হলে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে থেকে আপনার প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারেন।

 

আপনার বসবাস যদি পৌরসভা এলাকায় হয় তাহলে মেয়রের কার্যালয় থেকে প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করুন। এছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস থেকেও নাগরিকের প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করে থাকে।

 

নাগরিক সনদ কিংবা প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করার জন্য কোন প্রকার ফি কিংবা টাকা প্রদান করতে হয় না

 

পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড

পিতা মাতার তথ্য যাচাই করার জন্য পিতা-মাতার ভোটার আইডির প্রয়োজন হয়। তাছাড়া আবেদনকারীর পিতা-মাতা জাতীয়তা কি তা জানার জন্য এটির প্রয়োজন হয়।

 

নতুন ভোটার হতে হলে ভোটার নিবন্ধন আবেদনের সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি বাধ্যতামূলক জমা দিতে হবে।

 

ট্যাক্স বা খাজনা পরিশোধের রশিদ

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদন করতে যে সকল ডকুমেন্টস বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হয় তার মধ্যে ট্যাক্স রশিদ অন্তর্ভুক্ত।

 

জমি কিংবা বাড়ির টেক্স বা কর পরিশোধ রশিদ, চৌকিদারি ট্যাক্সের রশিদ আথবা পৌরকর পরিশোধের রশিদ। এই ট্যাক্স রশিদ আবেদনকারীর নিজের নামে হবে বিষয়টি এমন নয়। পিতা-মাতা কিংবা অভিভাবকের নামে হলেও সমস্যা নেই। এটি একটি বাধ্যতামূলক ডকুমেন্ট আবেদন করার সময় অবশ্যই এটি প্রয়োজন হবে।

 

ইউটিলিটি বিলের কপি

আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা যাচাই করার জন্য বর্তমানে বসবাস করে এমন বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের কাগজ কিংবা গ্যাস বিলের কাগজ জমা দিতে হবে।

 

আপনি যে এলাকায় বা যে ঠিকানায় ভোটার হতে চাচ্ছেন সেখানে বসবাসরত বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিল কিংবা পানি বিলের কাগজ আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।

 

রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট

রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট জমা দেওয়ার যদিও অপশনাল একটি ডকুমেন্ট। আমার মতে এটি অবশ্যই সবার জমা দেওয়া উচিত। ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট ভোটার হওয়ার সময় জমা দিলে আপনার আইডি কার্ডের পেছনে রক্তের গ্রুপ উল্লেখ থাকবে।

 

উপরে বর্ণিত ডকুমেন্টগুলো থাকলে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে বিবাহিতদের ক্ষেত্রে চাইলে কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্ট জমা দেয়া যেতে পারে।

 

বিবাহিতদের জন্য কাবিননামা বা বৈবাহিক সনদ আবেদনের সাথে যুক্ত করতে পারে। এছাড়া স্বামী কিংবা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে যুক্ত করা যেতে পারে।

 

অঙ্গীকারনামা

নতুন NID Card আবেদন করার জন্য সবার অঙ্গীকারনামা লিখার প্রয়োজন হয় না।

যারা পূর্বে সুযোগ এবং বয়স হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেনি তারা ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে  জমা দিতে হয়।

 

যারা দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন এবং দেশে এসে আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করবে তাদের ক্ষেত্রে  প্রযোজ্য।

যারা বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক আগেই জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করার জন্য উপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও আবেদন করেনি তারা এখন  নিবন্ধন করার জন্য অবশ্যই  জমা দিতে হবে।

 

এইখানে  স্পষ্ট উল্লেখ থাকে যে আবেদনকারী পূর্বে কখনো জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন করেননি যদি করে থাকে তাহলে পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে তার কোন আপত্তি থাকবে না।

 

আশা করছি আজকের নতুন নিবন্ধন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে তার বিস্তারিত আলোচনা আপনাদের উপকারে এসেছে। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *